আজ স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিন,রইলো শিক্ষার বিষয়ে একটি প্রতিবেদন
#স্বামী_বিবেকানন্দের_শিক্ষা_ও_দর্শন
👍▫️🔘স্বামী বিবেকানন্দের শিক্ষা ও দর্শন ভারতের ধর্ম, শিক্ষা, চরিত্র গঠন এবং বিভিন্ন সামাজিক বিষয়ের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। বিবেকানন্দ ছিলেন একজন ভারতীয় হিন্দু সন্ন্যাসী। তিনি পাশ্চাত্যে বেদান্ত দর্শন প্রচারে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন। সেই সঙ্গে ভারতেও ধর্মসংস্কারে তাঁর বিশেষ অবদান রয়েছে।
🌺🌻🌺🌻🌻🌻🌻🌻🌻🌻🌻🌻🌻🌻🌱#রবীন্দ্রনাথ_ঠাকুর_স্বামীবিবেকানন্দের_শিক্ষা_সম্পর্কে_বলেছেন,
"যদি ভারতকে জানতে চাও, তবে বিবেকানন্দের রচনাবলি পড়ো। তাঁর মধ্যে যা কিছু আছে সবই ইতিবাচক; নেতিবাচক কিছুই নেই।"[১]
🌱🌻🌱🌻🌱🌻🌱🌻🌱🌻🌱🌻🌱🌻🌱🌻🌱🌻বিবেকানন্দ অনুভব করেছিলেন, দেশের ভবিষ্যৎ জনগণের উপর নির্ভর করে। তাই তিনি মানুষের উপর বেষি জোর দিয়েছিলেন।
🏵️🌹 বলেছিলেন, "আমার উদ্দেশ্য হল মানুষের চরিত্র গঠন"। এইভাবেই তিনি নিজের শিক্ষা বর্ণনা করেন।[২] বিবেকানন্দ তাঁর আদর্শ বর্ণনা করতে গিয়ে বলেছিলেন, "(তাঁর উদ্দেশ্য) মানবজাতিকে তার অন্তর্নিহিত দেবত্ব শিক্ষা দেওয়া এবং জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপে তা কিভাবে কাজে লাগাতে হয় তা শেখানো।"[৩]
🌹🌹🌻#শিক্ষা_সম্পাদনা🏵️🌻🌹🌻
শিক্ষার সারমর্ম
স্বামী বিবেকানন্দ মনে করতেন, শিক্ষা পরিপূর্ণতার এক প্রকাশ। তা মানুষের মধ্যেই থাকে।[৩]
🌹🌻তিনি মনে করতেন, সমসাময়িক শিক্ষা ব্যবস্থা যে মানুষকে নিজের পায়ে দাঁড়াতে সাহায্য করে না, বা মানুষের মধ্যে আত্মনির্ভরতা ও আত্মমর্যাদাবোধ জাগিয়ে তুলতে সাহায্য করে তা, তা খুব বেদনার বিষয়
🌹🌹🌻 বিবেকানন্দ শিক্ষাকে তথ্যের সমষ্টি মনে করতেন না। তাঁর কাছে শিক্ষা ছিল আরও বেশি কিছু। তিনি শিক্ষাকে মানুষ তৈরি করার, জীবন দানের ও চরিত্র গঠনের মাধ্যম মনে করতেন। তিনি শিক্ষাকে মহান চিন্তার সমষ্টি মনে করতেন।[২]
#Education is not the amount of information that we put into your brain and runs riot there, undigested, all your life. We must have life building, man making, character making assimilation of ideas. If you have assimilated five ideas and made them your life and character, you have more education than any man who has got by heart a whole library...[৪][৫]
🌹🌻#ইতিবাচক_শিক্ষা🌻🌹🌻🌹
স্বামী বিবেকানন্দ মানুষকে শুধু ইতিবাচক শিক্ষা দেওয়ার পক্ষপাতী ছিলেন। কারণ তিনি মনে করতেন, নেতিবাচক চিন্তাগুলি মানুষকে দুর্বল করে দেয়। তিনি বলেছিলেন, যদি ছোটো ছোটো ছেলেমেয়েদের সবসময় দোষারোপ না করে উৎসাহিত করা হয়, তবে তারা এক সময় উন্নতি করবেই।[৬]
নিউ ইয়র্কে বিবেকানন্দ দেখেছিলেন, আইরিশ উপনিবেশ-স্থাপকরা খুবই খারাপ অবস্থায় খুব সামান্য জিনিসপত্র নিয়ে ভয়ে ভয়ে সেখানে এসেছিল, কিন্তু মাত্র ছয় মাসের মধ্যেই তাদের পোষাকপরিচ্ছদ আচারব্যাবহার সব পালটে যায়। তখন তাদের মধ্যে সেই ভয়ভীতির ভাব সম্পূর্ণ তিরোহিত হয়েছিল। এর কারণ খুঁজতে গিয়ে বিবেকানন্দ দেখেন যে, যদি বেদান্তের দৃষ্টিকোণ থেকে এটাকে ব্যাখ্যা করতে হয়, তাহলে বলতে হবে সেই আইরিশেরা স্বজাতীয়দের দেয়ারা পরিবেষ্টিত ছিল এবং সবাই তাকে বলছিল, "প্যাট, তোমার কোনো আশা নেই, তুমি ক্রীতদাস হয়ে জন্মেছো এবং তাই থাকবে।" এই কারণে তার মনে হীনমন্যতা এসেছিল।
🌹🌻🌻 কিন্তু আমেরিকায় আসার পর থেকে সবাই তাকে বলতে শুরু করল, "প্যাট, তুমিও মানুষ আমাদের মতো। মানুষই সব করে। তোমার আমার মতো মানুষেরাই করে। তাই সাহসী হও!" সেই জন্যই সে মাথা তুলে আত্মমর্যাদায় ভর করে চলছে।[৭] তাই বিবেকানন্দ বলেছেন, আমাদের শিক্ষাব্যবস্থাও ছেলেমেয়েদের নেতিবাচক শিক্ষা দেয়।
🌹🌹🌻🌻 এই শিক্ষা থেকে তারা আত্মনির্ভরতা ও আত্মমর্যাদার শিক্ষা পায় না। বিবেকানন্দের মতে, একমাত্র ইতিবাচক শিক্ষাই তাদের দেওয়া উচিত।[৭]
সূত্র:উইকি পিডিয়া
Edit:জুয়েল sk
Www.fb.com/juyel.shaikh.39