#Republic_day_of_India
ভারতের সংবিধান কার্যকর হয়েছিল এই 26 জানুয়ারী
▬▬▬▬▬▬▬✿▬▬▬▬▬▬▬
১৫ আগস্ট মনে করায় ভারত স্বাধীন। আর ২৬ জানুয়ারি মনে করায় গণতান্ত্রিক ভারতের কথা। ব্রিটিশ শাসনের শৃঙ্খল ঝেড়ে ফেলে, এই ২৬শে জানুয়ারীই প্রজাতন্ত্র দিবসটি ভারতের গণতান্ত্রিক সংবিধানের জন্ম উদযাপন করে। এই তারিখটি এতটাই অনন্য তাৎপর্য ধারণ করে, যা জাতির ইতিহাসে সারা জীবন স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। নিশ্চয়ই ভাবছেন কী সেই তাৎপর্য, চলুন জেনে নিই।
◈▬▬▬▬▬▬▬🌼
১৯৪৭ সালে স্বাধীনতার পর, ডক্টর বিআর আম্বেদকরের নেতৃত্বে একটি দল একটি সংবিধান রচনার প্রস্তাব পেশ করা হয়েছিল। দুই বছরের দীর্ঘ আলোচনার পর, ২৪ জানুয়ারী, ১৯৫০-এই সংবিধান গৃহীত হয়। ওই সংবিধান কোনো সাধারণ দলিল ছিল না। এটি ছিল নতুন প্রজাতন্ত্রের প্রাণ, একটি গণতান্ত্রিক, সমতাবাদী এবং ন্যায়পরায়ণ সমাজের কাঠামো। গৃহীত হওয়ার দুই দিন পরে সংবিধানটি ২৬ জানুয়ারী, ১৯৫০ সালে কার্যকর করা হয়, গড়ে ওঠে সার্বভৌম গণ-প্রজাতান্ত্রিক ভারত।
◈▬▬▬▬▬▬▬🌼◈▬▬▬▬▬▬▬🌻🌼🌼
25 নভেম্বর, 1949-এ, গণপরিষদে তাঁর চূড়ান্ত ভাষণে, ডঃ আম্বেদকর 26 জানুয়ারী, 1950 সালের পরের জীবনের সম্ভাব্যতা এবং ক্ষতি সম্পর্কে মন্তব্য করেছিলেন:
"1950 সালের 26শে জানুয়ারী আমরা দ্বন্দ্বের জীবনে প্রবেশ করতে যাচ্ছি। রাজনীতিতে আমাদের সাম্য থাকবে এবং সামাজিক ও অর্থনৈতিক জীবনে বৈষম্য থাকবে। রাজনীতিতে আমরা এক মানুষ এক ভোট, এক ভোট এক মূল্যের নীতিকে স্বীকৃতি দেব।
আমাদের সামাজিক ও অর্থনৈতিক জীবনে, আমরা আমাদের সামাজিক ও অর্থনৈতিক কাঠামোর কারণে, এক মানুষ এক মূল্যের নীতিকে অস্বীকার করতে থাকব। আর কতদিন আমরা এই দ্বন্দ্বের জীবন যাপন করতে থাকব? আর কতদিন আমরা আমাদের সামাজিক ও অর্থনৈতিক জীবনে সমতাকে অস্বীকার করতে থাকব? যদি আমরা এটিকে দীর্ঘকাল ধরে অস্বীকার করতে থাকি তবে আমরা কেবল আমাদের রাজনৈতিক গণতন্ত্রকে বিপদে ফেলে তা করব।
আমাদের এই দ্বন্দ্বকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব দূর করতে হবে অন্যথায় যারা অসমতায় ভুগছেন তারা রাজনৈতিক গণতন্ত্রের কাঠামোকে উড়িয়ে দেবেন যা এই বিধানসভা এত পরিশ্রমে গড়ে তুলেছে। "
ভারতবর্ষের সম্পূর্ণ নাম হল সার্বভৌম সমাজতান্ত্রিক ধর্মনিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক সাধারণতন্ত্র ভারত। ভারতে সাধারণতন্ত্র দিবস বা প্রজাতন্ত্র দিবস পালিত হয় ১৯৫০ সালের ২৬ জানুয়ারি তারিখে ভারত শাসনের জন্য ১৯৩৫ সালের ভারত সরকার আইনের পরিবর্তে ভারতীয় সংবিধান কার্যকরী হওয়ার ঘটনাকে স্মরণ করে।[১] এটি ভারতের একটি জাতীয় দিবস। ১৯৫০ সালের ২৬ জানুয়ারি ভারতীয় গণপরিষদ সংবিধান কার্যকরী হলে ভারত একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে পরিণত হয়।
কার্যকরী হওয়ার ঠিক দুই মাস আগে, ১৯৪৯ খ্রিস্টাব্দের ২৬ নভেম্বর গণপরিষদ কর্তৃক ভারতের সংবিধান অনুমোদিত হয়। ২৬ জানুয়ারি দিনটিকে সংবিধান কার্যকর করার জন্য বেছে নেওয়া হয়েছিল কারণ ১৯৩০ খ্রিস্টাব্দের ঐ একই দিনে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস কর্তৃক পূর্ণ স্বরাজের সংকল্প ঘোষিত ও গৃহীত হয়েছিল।
এই দিনটি ভারতের তিনটি জাতীয় দিবসের অন্যতম। অন্য দু'টি জাতীয় দিবস যথাক্রমে স্বাধীনতা দিবস ও গান্ধী জয়ন্তী এই দিন সারা ভারতেই নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। কেন্দ্রীয় কুচকাওয়াজের অনুষ্ঠানটি হয় নতুন দিল্লির রাজপথে। ভারতের রাষ্ট্রপতি এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকেন।
১৫ই আগস্ট ১৯৪৭ এ দীর্ঘ স্বাধীনতা আন্দোলনের ফলে ভারত ব্রিটিশ শাসন থেকে মুক্তি পায়। এই স্বাধীনতা আন্দোলনের বিশেষ বৈশিষ্ট্য ছিল মহাত্মা গান্ধীর নেতৃত্বে পরিচালিত, প্রায় সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ অহিংস অসহযোগ আন্দোলন ও আইন অমান্য আন্দোলন।
স্বাধীনতা লাভের প্রক্রিয়াটি সম্পূর্ণ হয় যুক্তরাজ্যের সংসদে ভারতীয় স্বাধীনতা আইন পাশ হওয়ার মাধ্যমে। এর ফলে ব্রিটিশ ভারত ভেঙে গিয়ে কমনওয়েলথ অফ নেশনস-এর অন্তর্গত অধিরাজ্য হিসেবে দু'টি স্বাধীন রাষ্ট্র ভারত ও পাকিস্তানের জন্ম হয়।
[২] ১৫ই আগস্ট ১৯৪৭ এ ভারত স্বাধীন হলেও দেশের প্রধান হিসেবে তখনও বহাল ছিলেন ষষ্ঠ জর্জ এবং লর্ড লুই মাউন্টব্যাটেন ছিলেন এর গভর্ণর জেনারেল। তখনও দেশে কোনো স্থায়ী সংবিধান ছিল না; ঔপনিবেশিক ভারত শাসন আইনে কিছু রদবদল ঘটিয়েই দেশ শাসনের কাজ চলছিল। ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দের ২৮শে আগস্ট একটি স্থায়ী সংবিধান রচনার জন্য ড্রাফটিং কমিটি গঠন করা হয়। এই কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন ভীমরাও রামজি আম্বেডকর। ৪ঠা নভেম্বর ১৯৪৭ তারিখে কমিটি একটি খসড়া সংবিধান প্রস্তুত করে গণপরিষদে জমা দেয়।[৩]
চূড়ান্তভাবে সংবিধান গৃহীত হওয়ার আগে ২ বছর, ১১ মাস, ১৮ দিন ব্যাপী সময়ে গণপরিষদ এই খসড়া সংবিধান আলোচনার জন্য ১৬৬ বার অধিবেশন ডাকে। এই সমস্ত অধিবেশনে জনসাধারণের প্রবেশের অধিকার ছিল।
১৯৪৯ সালের ২৬শে নভেম্বর স্বাধীন ভারতের সংবিধান গৃহীত হবার পর ঠিক করা হয় ১৯৩০ সালের ২৬শে জানুয়ারি প্রথম স্বাধীনতা দিবস পালনের সেই দিনটিকে শ্রদ্ধা জানিয়ে ১৯৫০ সালের ২৬শে জানুয়ারি থেকে ভারতের সংবিধান কার্যকর হবে এবং সেদিন থেকে প্রজাতান্ত্রিক ভারতবর্ষ বা রিপাবলিক অফ ইন্ডিয়া হিসেবে পরিচিত হবে।
Rare photo news
বহু বিতর্ক ও কিছু সংশোধনের পর ২৪ শে জানুয়ারি ১৯৫০ এ গণপরিষদের ৩০৮ জন সদস্য চূড়ান্ত সংবিধানের হাতে-লেখা দু'টি নথিতে (একটি ইংরেজি ও অপরটি হিন্দি) স্বাক্ষর করেন। এর দু'দিন পর সারা দেশব্যাপী এই সংবিধান কার্যকর হয়।
১৯৫০ সালের ২৬শে জানুয়ারি থেকে ভারতের সংবিধান কার্যকর হবে এবং সেদিন থেকে প্রজাতান্ত্রিক ভারতবর্ষ বা রিপাবলিক অফ ইন্ডিয়া হিসেবে পরিচিত ।
সূত্র : উইকি পিডিয়া
সমাপ্ত।
NSOUBOYJUYEL
🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳🇮🇳
আপনি কি নেতাজি সুভাষ মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় এর ক্যান্ডিডেট।।
সম্মানিত পাঠক আপনার জন্য আমরা বিশেষ অফার এনেছি।👇👇
◈◈▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬✪✪✪
𝑺𝑷𝑬𝑪𝑰𝑨𝑳 নোটস সাজেশন 𝐔𝐆,𝐏𝐆
◈▬▬▬▬▬▬▬
UG & PG কোর্সের সকল বর্ষের কম্পিউটার টাইপ, কমন যোগ্য নোটস সাজেশন সল্প মুল্যে নিতে যোগাযোগ করুন।
Call/Whatsapp-9647952011
(আর্টস অ্যান্ড সায়েন্স 𝑺𝑷𝑬𝑪𝑰𝑨𝑳) 𝐔𝐆,𝐏𝐆
50% ছাড়ে নোটস সাজেশন সহ দেওয়া হচ্ছে
🌼
PG : BLIS : MLIS: M.COM : MSW ✅
✅সমস্ত বিষয়ের নোটস সাজেশন দেওয়া শুরু করেছি।
✅ সমস্ত বিষয়ের (বাংলা ও ENGLISH) সব ভার্সন এর নোটস আমাদের থেকে পেয়ে যাবেন।
✅PG এর বিষয়ভিত্তিক MOST IMPORTANT COMMON যোগ্য স্পেশাল সাজেশন্স পাবেন।
📝 সব সাবজেক্টের PDF নমুনা (Sample) পেতে whtsapp করুন ✓ -9647952011✪6297610791
বিস্তারিত জানার জন্য সরাসরি WHATSAPP করে নিতে পারেন।
◈▬▬▬ ফিউচার একাডেমী সেন্টার ◈▬▬▬▬
🌻9647952011 ✪ 6297610791 🌻
FUTURE ACADEMY CENTRE
#ফিউচার_একাডেমী_সেন্টার
#netaji_subhas_open_university_note
#NSOU_PG_NOTES
#NSOU_UG_NOTE
সরাসরি Whatsapp করুন*
🌻🔘⚫ *আপনি কি NSOU স্টুডেন্ট? নিয়মিত গাইড পেতে (follow/যুক্ত) হয়ে যান......*
✪➤NSOU *WhatsApp Channel* LINK ➤
✪➤ *WhatsApp GROUP* JOIN LINK ➤
*NSOUBOYJUYEL*